কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ৪৯ টি পূজা মন্ডপে হিন্দু ধর্মালম্বীদের মাতৃত্ব ও শক্তির প্রতীক দেবী দুর্গাকে ‘মর্ত্যে আহ্হ্বান জানানোর মাধ্যমে শুরু হতে হতে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা আগামী ৮ অক্টোবর মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে। পূজার সময় ঘনিয়ে আসায় শেষ মুহূর্তে দেবীকে সাজিয়ে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির শিল্পীরা।
এদিকে শিল্পীদের নিপুন হাতের ছোঁয়ায় ইতোমধ্যে মাটির কাজ শেষ করে শিল্পীর রঙ তুলির আঁচড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে দেবীদুর্গা সহ বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমূর্তী। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবীদুর্গা শক্তি ও সুন্দরের প্রতীক। প্রতি বছর অশ্বরের বিনাশ কল্পে মা দেবী দূর্গা ধরাধামে আবির্ভূত হয়। তাই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন সমাজ থেকে অন্যায় অবিচার গ্লানি দূর করার জন্যই এই পূজার আয়োজন। পূজা উৎসবকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে মন্দির গুলোতে চলছে সাজসজ্জার প্রস্তুতি। ইতি মধ্যে খড়, কাঠ সতা আর মাটি দিয়ে দর্গাসহ নানা প্রতিমার কাঠামো তৈরী শেষে এখন চলছে প্রতিমায় রং দেয়ার কাজ। শিল্পীর নিপুণ হাতে রং তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলছেন দেবী দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, গণেশসহ নানা প্রতিমা। পুরুষদের পাশাপাশি প্রতিমা তৈরীর কাজে সহায়তা করছে বাড়ির নারী শিল্পীরাও। তবে প্রতিমা তৈরীর উপকরণের দাম বাড়ার কারনে বাড়েছে প্রতিমার দাম। আগামী ৮/১৩ অক্টোবর ৫ দিন ব্যাপী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় শিল্পী ছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শিল্পীরা অন্যদিকে প্রতিমার পাশাপাশি বাদ্যযন্ত্র ঠিক ও তৈরী করতে ব্যস্ত সময় পার করছে ঢাক-ঢোল, কাঁশি ও বাঁশির কারিগররা। মাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন সকল সনাতন ধর্মালম্বীরা। কালিগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক সনৎ কুমার গাইন বলেন, প্রতিটি পূজা মন্ডপে পুলিশ সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করেছেন।