- মানছুর রহমান জাহিদ
বিভাগীয় কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগের পরেও খুলনার পাইকগাছায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন নিয়োগ কমিটি। এ ছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফলাফল ঘোষনা না করে শিক্ষা কর্মকর্তা ফলাফলের কাগজ নিয়ে চলে গেলেন নিজ অফিসে। এ নিয়ে নিয়োগ পরীক্ষার্থী জোবায়ের হোসেন লিখিত ও ভিডিও সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার চাঁদখালীর কপোতাক্ষী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক, আয়া ও নিরাপত্তা কর্মী পদে বুধবার নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। উক্ত নিয়োগ পরীক্ষায় তিনটি পদে ২৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জন অংশ নিয়েছেন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে কেন্দ্রে ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে সকলকে একটি কক্ষে থাকতে বলা হলে সবাই থেকে যায়। কিন্তু এর মধ্যে বেলা ৪ টার দিকে ফল প্রকাশ না করে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফলাফলের কাগজ নিয়ে চলে আসতে থাকলে কয়কজন পরীক্ষার্থী ফলাফল জানতে চাইলে বলেন তার অফিসে যোগাযোগ করে জেনে নেবে। এদিকে বর্তমান যে ম্যানেজিং কমিটি আছে তার মেয়াদ নেই। এ কমিটির বয়স ১০ বছর। সভাপতি আব্দুস সালাম খানের মেয়াদ শেষ হবে ২৬ জুন। এ কারণে যেভাবেই হোক নিয়োগ শেষ করতে হবে। সেভাবে সবকিছু ঠিকঠাক করে পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের ম্যানেজ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে। যাদের নেয়া হবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে পরীক্ষার আগের দিন মঙ্গবার তাদের নাম উল্লেখ করে খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ও পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু তাতে কোন কাজতো হয়নি বরং তাদেরই নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগে প্রকাশ।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সুকুমার রায় বলেন, রেজাল্টসীট শিক্ষা অফিসার নিয়ে গেছেন। কারা নিয়োগ পেয়েছে তা আমি বলতে পারছিনা।
সভাপতি আব্দুস সালাম খান বলেন, আমি কিছু বলতে পারবোনা। শিক্ষা অফিসারের কাছ থেকে জেনে নেবেন।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শাহাজাহান আলী শেখ নিয়োগ প্রাপ্ত তিনজনের নাম জানিয়ে বলেন, স্কুলের নোটিশ বোর্ড বুধবার বিকেল ৫ টা আমি ফিরে যেয়ে নিজে টাংগিয়ে দিয়ে আসছি