উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দরখাস্ত প্রদান
কালীগঞ্জ(ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
খাদ্যবান্ধব ১৫টাকা কেজি দরে চাল বিতরনে চালের কার্ড নিয়ে নেওয়া, স্বাক্ষর নিয়ে চাল না দেওয়া সহ নানা অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় বারোবাজার ইউনিয়নের চাল প্রদানকারী ডিলারদের বিরুদ্ধে। ৫আগষ্ঠ সরকার পতনের পর পূর্বের ডিলার বাদ দিয়ে অস্থায়ী নতুনদের দিয়ে চাল শুরু করেন উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু সেই চাল বিতরনে নান অভিযোগ উঠেছে চাল প্রদানকারী ডিলারদের বিরুদ্ধে। ভূক্তভুগিরা সঠিক তদন্ত ও এর থেকে সুরুহা পেতে গত ২৮জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বারাবর একটি আবেদনও জমা দিয়েছেন।
বারোবাজার ইউনিয়নের মাঠ বেলাট গ্রামের ফাইমা খাতুন জানান, তিনবার চাল দেওয়া হলেও আমি দুইবার চাল পেয়েছি। আমরা গরীব মানুষ, এই চালটা পাওয়াতে আমাদের সংসারে খুব উপকার হয় কিন্তু কার্ড থাকার পরও আমি এখন আর চাল পাচ্ছিনা।
জগনাথপুর গ্রামের মছুল উদ্দিন আমার কার্ড নিয়ে নিয়েছে। আমাদের ৫/৬ জনের কার্ড ওরা নিয়ে নিয়েছে। হাসিনা যাওয়ার পর থেকে আর চাল পাইনি। ওরা আমাদের কার্ড দিয়ে কন্টোলের চাল তুলে নেচ্ছে।
বারোবাজার ইউনিয়নের পরিষদের প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব থাকা কালীগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মহস্য অফিসার হাসান সাজ্জাদ বলেন, অভিযোগের ব্যপারটাই তদন্ত চলমান আছে। খুব দ্রুতই তদন্ত রিপোট দিয়ে দিব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেদারুল ইসলাম জানান, আমি বিষয়টি উক্ত ইউনিয়নের প্রশাসকের নিকট দায়িত্ব দিয়েছি। তদন্ত শেষে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছি।