ঝিনাইদহ অফিস
প্রবাসী আক্কাস আলীর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর থেকে হতহম্ভ ও বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে পরিবারসহ স্বজনরা। গত ১৯ ফেব্রুয়ারী সৌদি আরবে মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর থেকে মেয়ে হোসনে আরা (১৪), শিশু সন্তান স্বাধিন (৮) ও বড় ছেলে অমি (১৯) সহ পরিবার স্বজনেরা দিশেহারা। মৃতদেহ দেশে ফেরা নিয়ে রয়েছে না সংকট ও জটিলতা। সুখের আশায় ২ বছর ৪ মাস আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিল ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার তত্বিপুর গ্রামের আলাউদ্দিন মোল্যার ছেলে আক্কাস আলি। যাওয়ার ৩ মাস পর থেকে অবৈধভাবে প্রবাসজীবন কাটাতে থাকে। অনাহারে অর্ধাহারে কেটেছে জীবনের অনেকটা সময়। গত বুধবার রাতে বুকে ব্যথা নিয়ে স্ত্রী সুরাইয়ার সাথে শেষ কথা হয় তার। এদিকে প্রবাসী আক্কাস আলির বাবা আলাউদ্দিন মোল্যাও গত ৩ মাসে মৃত্যুবরন করেছে। জমি বিক্রি ও ধারদেনা করে একই উপজেলার জামাল ইউনিয়নের বড় তালিয়ান গ্রামের আমজেদ মুসল্লির ছেলে মিখাইলের মাধ্যমে সৌদি আরবে গিয়েছিল। মিখাইল তখন সৌদি আরবে অবস্থান করছিল। প্রবাসী আক্কাস আলী সৌদি আরবে যাওয়ার ৩ মাস পর অবৈধ হয়ে যায়। বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে থেকে গত জানুয়ারি মাসে প্রবাস জীবনের প্রথম উপার্জিত টাকা পরিবারের কাছে পাঠায়। স্ত্রী সুরাইয়া বলেন, সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা দিয়ে মিখাইলের মাধ্যমে সৌদি আরব গিয়েছিল আমার স্বামী,এ কেমন প্রবাস জীবন শুধু পালিয়ে থাকতে হয়। আমাদের সাথে প্রতারনা করেছে দালাল মিখাইল। তার বিচার হওয়া দরকার। লাশ দেশে আসা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা জটিলতা। আর কত জীবন নিয়ে খেলা করবে মিখাইল নামের দালালরা। বিচার কি তাদের হবে না? শতকষ্ট বুকে বেঁধে পরিবারের সুখের আশায় বিদেশ পাড়ি দেওয়া রেমিটেন্স যোদ্ধাদের না বলা অনেক কথা থেকে যায় অতি গোপনে।