ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ মটর মালিক সমিতি কর্তৃক ব্যক্তি মালিকানার পৈত্রিক জমি দখলের চেষ্টা এবং শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম থেকে ৫৯ শতক জমি উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জমির মালিক কাজী আজিজুল হকের পরিবার। বুধবার বেলা ১১টার সময় কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জমির প্রকৃত মালিক ফয়লা গ্রামের কাজী মফিজুল ইসলাম। এসময় তার সাথে ছিলেন ওই পরিবারের পোতা ছেলে তনয় কাজী ও শ্যালক আবদুর রাজ্জাক। লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগি পরিবার জানান, পৌরসভার আড়পাড়া মৌজার জে,এল নং -২৮ খতিয়ান নং- ১১৮৩ ও ১২১২ নং দাগে ১৯৪৯ সালে বিজন বালা নামের এক মহিলার থেকে আমার বাবা ২ একর ৯৮ শতক জমি ক্রয় করেন। ওই সাল থেকে ১৯৫৪ সাল জমিগুলি আমার বাবার ভোগ দখলে ছিল। পরবর্তীতে ১৯৫৪ সালের পরে ১ একর সাড়ে ৩৪ শতক জমি বাংলাদেশ রেলওয়ে অধিগ্রহন করে নেয়। কিন্তু সে সময়ে অধিগ্রহন বাবদ কোন টাকা পয়সা দেয়নি। এরপর ওই অধিগ্রহনকৃত জমি রেলের কোন কাজে না আসায় বাংলাদেশ রেলওয়ে ২০০১ সালে আদালতের মাধ্যমে আমার বাবার নামে সমুদয় জমি ফেরত দেন। সেই থেকে আমরা নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে আসছি। ২০০১ সালে মাঠ জরিপে আমাদের নামে জমি রেকর্ড হয় এবং প্রিন্ট পরচাও পেয়ে নিয়মিত ২০১৯ সাল পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করি। কিন্তু তৎকালিন সরকারের ক্ষমতাশীন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জমির খাজনা বন্ধ করে দেয় এবং সেখানে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম গড়ে তোলে। ভুক্তভোগী পরিবারটি আরো জানায়, আমাদের জমির উপর নির্মিতও ঘরগুলি কালীগঞ্জ মটর মালিক সমিতি অন্যায়ভাবে দখল করে নিয়েছিল। বহুবার আমরা ফেরত চাইতে গেলেও বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসতো। গত কয়েক মাস আগে কালীগঞ্জ মটর মালিক সমিতির মধ্যে বে-দখলের ৪ শতক ২৫ পয়েন্ট জমি আমরা দখলে নিয়েছি কিন্তু কালীগঞ্জ মটর মালিক সমিতি আবার সেই জমি আমাদের কাছ থেকে দখল নেবার পায়তারা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে ওই সমিতি অবৈধভাবে আমাদেরকে কাগজ পত্র নিয়ে তাদের সাথে বসার জন্য নোটিশ প্রদান করেছে। যা একে বারেই অন্যায়। সংবাদ সন্মেলনে তারা মটর মালিক সমিতি কিভাবে নোটিশ করার ক্ষমতা রাখেন এমন প্রশ্নও এমন করেন তারা। পবিবারটি তাদের পৈত্রিক সম্পতি উদ্ধারের জন্য কালীগঞ্জের সুধি সমাজ ও প্রসাশনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।