মোঃ রমজান আলী, মহেশপুর (ঝিনাইদহ)
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সামন্তা গ্রামের ছলিম উল্লাহ ওরফে ছলিম মাষ্টার নিজের ৭৩ শতক জমিতে
বজলু ও মসলেমকে বাড়ী ঘর করে বসবাস করতে দিয়ে তিনি আওয়ামীলীগের পেটুয়া বাহিনী দিয়ে প্রতিবেশী জামের আলী, আব্দুর রহমান ও সন্টু হোসেনের জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি
কাজিরবেড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ানবীর নির্দেশে জমি মাফতে গেলে ইউপি সদস্য নাসির মেম্বারসহ জমির মাফযোগকারী (আমিন) মনি আমাষ্টারকেও আসামী করে আদালতে হয়রানী মুলক একটি মামলাও করেছেন মামলাবাজ জমি দখলকারী ছলিম উল্লাহ। শুধু তাইনা ঐমামলায় প্রতিবেশী নাজমা
বেগম,আবুল ফকিরকেও আসামী করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ও
সহকারী কমিশনার (ভুমি) অফিসের সার্ভেয়ারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়া জন্য নির্দেশ দিলেও তারা তদন্ত
না করেই অর্থের বিনিময়ে ঘরে বসেই প্রতিবেদন দিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসী জানান, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা কালিন সময়ে সামন্তা গ্রামের ছলিম উল্লাহ ওরফে ছলিম মাষ্টার নিজের পেটুয়া বাহিনী দিয়ে সামন্তা গ্রামের জামের আলী, আব্দুর রহমান ও সন্টু হোসেনের সামন্তা গোপালপুর মৌজার ৩৪৯৭ খতিয়ানের ১৬২৩ দাগের ২২ শতক জমিতে বাড়ী ঘর করে বসবাস করা অবস্থায় তিনি কিছু অংশো দখল করে নেয়। এলাকার অসহায় জামের আলী, আব্দুর রহমান ও সন্টু হোসেনে ছলিম উল্লাহ পেটুয়া বাহিনীর কাছে অসহায় হয়ে যায়। আর এ সুজোগে ছলিম উল্লাহ তাদের জমি জোর পুর্বক দখলে নেয়।প্রতিবেশী নাজমা বেগম জানান, সামন্তা গ্রামের ছলিম উল্লাহর ৭৩ জমি রয়েছে। সে জমিতে বজলু ও মসলেম নামের দু’জন বাড়ী ঘর করে বসবাস করছেন। অথচ তিনি তার জমির পাসেই বজলু ও মসলেমের একই মৌজার ১৬৩২ দাগের ২০ মতক জমি নিজে দখল করে রেখেছেন। তার পরও ছলিম উল্লাহ ওরফে ছলিম মাষ্টার প্রতিবেশী জামের আলী, আব্দুর রহমান ও সন্টু হোসেনের ২২ শতক জমির কিছু অংশো তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে দখল করে নেয়।সামন্তার গ্রামের জামের আলী, আব্দুর রহমান ও সন্টু হোসেনে জানান, আমরা এলাকার হাবিবুল্লাহ কাছ থেকে ২২ শতক জমি ক্রয় করে জমিতে বাড়ী ঘর করে বসবাস করে আসছি দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু একই গ্রামের ছলিম উল্লাহ আওয়ামীলীগের সস্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের বাড়ীর কিছু জমি দলখে নেয়। বাধা দিতে গেলে তারা আমাদেরসহ ইউপি সদস্য নাসির উদ্দীনকে ১ নং,প্রতিবেশী নাজমাকে ৩নং ও জমি মাপার আমিন মনি মাষ্টারকে ৭নং আসামী করে আদালতে একটি মামলা একটি মামলা দায়ের করেছেন।ছলিম উল্লহর স্ত্রী মনজুরা বেগম জানান, জমিটা আমরা দখলে নিয়ে ছিলাম। কিন্তু তারা আবার দখল করে নিয়েছে। আর এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে।কাজিরবেড় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (ইউপি সদস্য) নাসির উদ্দীন জানান, পরিষদ থেকে জমি মাপার সময় আমি উপস্থিত থাকার কারনেই জমি দখলকারী ছলিম উল্লাহ আমাকে ১ নং আসামী করে আদালতে মামলা করেছেন।কাজিরবেড় ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভুমি কর্মকর্তা আব্দুস সালাম জানান, আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর আমি আমার প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করেছি।মহেশপুর উপজেলা ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার মনির হোসেন জানান, আমি ঘটনা স্থলে না গেলেও নায়েব সাহেবের কাছ থেকে শুনেই আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।কাজিরবেড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ানবী জানান, ২২ শতকের জমিটা মুলত জামের আলী, আব্দুর রহমান ও সন্টু হোসেনদের। জমিতে বাড়ীসহ বিভিন্ন ফলের গাছ রয়েছে। অথচ প্রতিবেশী ছলিম উল্লাহ এলাকার কিছু উচ্ছৃঙল (নেশাগ্রস্থ) ছেলেদের নিয়ে জামের আলী, আব্দুর রহমান ও সন্টু হোসেনদের বাড়ীর মধ্যের কিছু জমি জোর পুর্বক দখল করে নেয়। এ নিয়ে আমরা কয়েকবার জমিটা মাফযোগ করেছি। তিনি আরো জানান, জমি মাপার সময় ছলিম উল্লাহ বলে আমি জমি ছেরে দেবো। কিন্তু সে পরে আর জমি ছারেনা। জামের আলী, আব্দুর রহমান ও সন্টু হোসেনদের জমি না ছেরে দিয়ে উল্টো তাদের নামেই আদালতে ছলিম উল্লাহ মামলা করেছেন।