জহুরুল ইসলাম
খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও খুলনা বিভাগীয় শ্রমিক উইংয়ের আহবায়ক মোঃ মোতালেব সিকদারকে (৪২) গুলিবিদ্ধ করার ঘটনায় কড়া অবস্থানে রয়েছে যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি)। ঘটনার পর জড়িত পলাতক আসামিরা যাতে সীমান্ত পথে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পালিয়ে যেতে না পারে, সেজন্য যশোর সীমান্ত এলাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
সীমান্তে ব্যাপক তল্লাশি ও নজরদারি:
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে টহল এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, নিয়মিত টহলের পাশাপাশি অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করে চিরুনি অভিযান চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে যেসব এলাকা দিয়ে অবৈধ পারাপারের সম্ভাবনা থাকে, সেখানে কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে।সীমান্তের যেসব স্থানে কাঁটাতারের বেড়া নেই, সেই এলাকাগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ‘সিলগালা’ করে দিয়েছে বিজিবি। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলেই তল্লাশির আওতায় আনা হচ্ছে। সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামগুলোতেও বিজিবি’র গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।এ বিষয়ে ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, “খুলনায় মোঃ মোতালেব সিকদারের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত অপরাধীরা যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সেজন্য বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। আমরা সীমান্তের প্রতিটি পয়েন্টে তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করেছি এবং আমাদের সদস্যরা অত্যন্ত তৎপর রয়েছে।”
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার ২২ ডিসেম্বর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার সামনে দিয়ে যাওয়ার পথে মোতালেব সিকদারকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলার পর থেকেই জড়িতদের গ্রেফতারে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে।












