ইনামুল হক
শত জল্পনা-কল্পনার পরে যশোর- ৫ মনিরামপুর আসনে জাতীয়তাবাদী বিএনপি অ্যাডভোকেট শহীদ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনকে মনোনয়ন দেয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন না পেরুতে মনোনয়ন ঘুরিয়ে শরীক দল বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্য জোট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রী, সাবেক হুইপ ও তিন বারের সংসদ সদস্য মুফতি ওয়াক্কাস এর সন্তান মুফতি রশীদ ওয়াক্কাস যশোর ৫ আসনের ধানের শীষের কাণ্ডারি হিসাবে জাতীযতাবাদী হায়কমান্ড থেকে ঘোষনা দেওয়া হয়। আজ দুপুরে বিএনপি মহাসচিব সংবাদ সম্মেলনে এ খবর জানান।
এ খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার প্রচারণার পরে মনিরামপুরের জাতীয়তাবাদী ভালোবাসায় সিক্ত সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ভেঙ্গে পড়েছেন । জানা যায় এ আসনটিতে প্রকৃতপক্ষে শরীক দলের থেকে অনেক গুণ পরিমাণে বিএনপি সমর্থিত ভোটার সংখ্যা বেশি। তারপরেও এ আসনের মনোনয়ন জাতীয়তা বিএনপির শরীক দল বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট কে দেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন পরিবর্তন করে জোটের প্রার্থী হিসেবে মুফতি রশিদ বিন ওয়াক্কাসকে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ করেন জাতীয়তাবাদী বিএনপি'র সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি মনিরামপুর বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
বিক্ষোভ চলাকালে অংশগ্রহণকারীরা “অবৈধ মনোনয়ন মানি না, মানবো না”—এমন বিভিন্ন স্লোগান দেন। মিছিলটি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় এবং কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপি'র ও পৌর বিএনপি'র নেতাকর্মীদের সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তারা জানান আমাদের এই আসনটিতে বিএনপি'র ভোট বেশি এবং এ আসনটিতে বিএনপিকে মনোনয়ন দিলে বিএনপি জয় লাভ করতো বা করবে। কিন্তু কোন এক রহস্য কারণে মনোনয়ন ঘুরিয়ে শরীক দল বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্য জোট এর প্রার্থী মুফতি রশিদ বিন ওক্কাসকে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, মনোনয়ন পরিবর্তনের সিদ্ধান্তে তারা হতাশ ও ক্ষুব্ধ। তারা দাবি করেন, ত্যাগী ও জনপ্রিয় নেতার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে আরও কর্মসূচি দেওয়ার ইঙ্গিতও দেন তারা।












