বাংলাদেশ || ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫

রই মধ্যে তারেক রহমানের জন্য বিমানবন্দরে পৌঁছেছে বুলেটপ্রুফ গাড়ি।

রই মধ্যে তারেক রহমানের জন্য বিমানবন্দরে পৌঁছেছে বুলেটপ্রুফ গাড়ি।

প্রতিদিনের কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৩৮, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ পর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে তাকে বহনকারী ফ্লাইট ‘বিজি ২০২’ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। রই মধ্যে তারেক রহমানের জন্য বিমানবন্দরে পৌঁছেছে বুলেটপ্রুফ গাড়ি। সকাল ৭টার কিছুক্ষণ আগে গাড়িটি বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এই গাড়িতে করেই বিমানবন্দর থেকে নানা কর্মসূচিতে যাবেন তারেক রহমান। এর আগে, গতকাল বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১০টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান তারেক রহমান। এ সময় যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বেষ্টনী পর্যন্ত গিয়ে তারা তাদের নেতাকে বিদায় জানান। পরে তারেক রহমান ‘চেক-ইন’ করে বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবেশ করেন। রাত সোয়া ১২টার দিকে তাকে বহনকারী ফ্লাইটটি ঢাকার পথে রওনা হয়। তার সঙ্গে স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান রয়েছেনএছাড়া দলের প্রায় ৫০ নেতাকর্মী একই ফ্লাইটে বাংলাদেশে আসছেন। ফ্লাইটটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রাবিরতি দিয়ে ঢাকায় পৌঁছবেঢাকায় বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সিনিয়র নেতা এবং দেশের বিশিষ্ট ও বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানাবেন। সেখান থেকে সরাসরি রাজধানীর পাশে পূর্বাচল রুটের ৩০০ ফিট সড়কে প্রস্তুত সংবর্ধনা মঞ্চে উঠে দলীয় নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আগামী দিনে দলের করণীয় ও প্রতিশ্রুতি তুলে ধরবেন।এদিকে, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় করে রাখতে এবং তাকে রাজকীয় সংবর্ধনা দিতে পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ভোরের তীব্র শীত উপেক্ষা করে সংবর্ধনাস্থল জনতার স্রোতে পরিণত হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকালে পূর্বাচলের ৩০০ ফিট হাইওয়ে এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র শীত উপেক্ষা করে জনসমুদ্রে পরিণত ৩০০ ফিট এলাকা। সারা দেশ থেকে অনুষ্ঠানস্থলে আসছেন হাজার হাজার নেতকর্মী। কুড়িল থেকে শুরু করে মঞ্চ এলাকা নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে।নেতাকর্মীদের মধ্য ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। সবার মুখে মুখে ফিরছে একটিই স্লোগান—‘লিডার আসছে’। এছাড়া, স্লোগান-প্ল্যাকার্ড আর নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাসে পুরো এলাকা যেন বিশাল ‘উৎসবকেন্দ্রে’ পরিণত হয়েছে।