বেনাপোল প্রতিনিধিঃ যশোরের বেনাপোল ঘিবা গ্রামে
পরকীয়ার কেলেংঙ্কারির ঘটনার প্রেক্ষাপটে জনপ্রতিনিধির শালিশকে কেন্দ্র করে সাধরণ জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
শালিশ ন্যায় বিচার সঙ্গত হয়নি উল্লেখ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামবাসীদের অনেকেই এই প্রতিনিধির কাছে অভিযোগ করেছেন, যে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন ৪ নম্বর ঘিবা গ্রামে একটি পরকীয়া ঘটনার বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান শালিশ করেছেন তা যথাযথ হয়নি।
শনিবার(২৬সেপ্টেম্বর)সকাল ১০ টার সময় প্রকশ্যে গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়।
সরেজমিন এঘটনা ওই গ্রামে ঘুরে জানা যায় গ্রামের সাইদুল ইসলামের স্ত্রী ফাহিমা বেগম দীর্ঘ দিন ধরে একই গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে সোহেল হোসেন এর সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত রয়েছে।গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাত্রে সোহেল ফাহিমার ঘরে প্রবেশ করে অপকর্মে লিপ্ত হয় ।তার স্বামী তখন দেখতে পাই।ওই দিন তারা দুজনেই হাতে নাতে ধরা পড়ে।
উল্লেখ্য এর আগেও তারা এরকম অপকর্মে লিপ্ত হওয়ার সময় ধরা পড়েছিল। এবং সে যাত্রাগুলোতে তারা অল্পস্বল্প জরিমানা ও মুসলেকা দিয়ে রক্ষা পায়। কিন্তু এবার ঘটনা চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতীর সৃষ্টি উদ্ভব ঘটলো গ্রামবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। তারা বলেন এরকম অপকর্ম গ্রামে চলতে থাকলে গ্রামের শিক্ষার্থী তথা কোমলমতী বালক বালিকাদের ওপর খারাপ প্রভাব পড়তে থাকবে। এরকম প্রেক্ষাপটেই এই শালিশ বৈঠকের আয়োজন।
এই শালিশে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর গ্রামের সন্মানিয় ব্যক্তি ইদ্রিস হোসেন, খালেক মোড়ল ও ওসমান মোড়ল সহ প্রায় আরো গন্য মান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। শালিশ বৈঠকে কৌতুহলী প্রায় ২শতাধিক নারী পুরুষ শিশু উপস্থিত ছিলেন। প্রথমে চেয়ারম্যান এই ঘটনার শাস্তি স্বরুপ পরকীয়ায় লিপ্ত সোহেল এর মাথা ন্যাড়া করে ঘোল ঢেলে গ্রাম জুড়ে ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়ানোর শাস্তি ঘোষনা করেন। এবং একই সাথে ফাহিমা বেগমকে ৫ হাজার টাকা জারিমানা ও সোহেলকে ২৫ হাজার টাকা জারিমানা ধরা হয়। জরিমানার এই টাকা আদায় পুর্বক গ্রামে উন্নয়ন তহবিলে প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়। বিচার মোতাবেক মাথান্যাড়া ঘোল ঢালা গ্রাম ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়ানোর শাস্তি আকস্বিক ভাবে রহিত করে চেয়ারম্যান একজন ব্যক্তিকে দিয়ে লঘু শাস্তি মুলক কিল ঘুষি মারান সোহেলকে। এই লঘু শাস্তিতে গ্রামবাসীর মাধ্যে নিন্দা প্রতিবাদ করেছে।